
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো ‘রেলওয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেসে’র মাধ্যমে ১০ কনটেইনারে ২শ’ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। এ অক্সিজেন বেনাপোল বন্দরে খালাস হবে না।
এরই মধ্যে বন্দরটিতে শুধুমাত্র কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেন আবারও ভারতে ফিরে যাবে।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে অক্সিজেন বোঝাই ট্রেনটি পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শাহিদুজ্জামান। তিনি জানান,
‘রেলওয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস’র মাধ্যমে প্রথম অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি হলো লিন্ডে এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট বাংলাদেশ। এই অক্সিজেন ছাড়ের যাবতীয় কাজ করছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সারথি এন্টারপ্রাইজ।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সংকট তৈরি হয় এবং চাহিদা বেড়ে যায়। যে কারণে কিছুদিন অক্সিজেন রফতানি বন্ধ রাখা হয়। পরে দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাংলাদেশে অক্সিজেন রফতানি শুরু করে। যা এতদিন স্থলপথে ট্রাকের মাধ্যমে আসছিল। বর্তমানে করোনা রোগীর জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেজন্য স্থলপথে ট্রাক এবং রেলের মাধ্যমে আমদানি করে অক্সিজেনের মজুত বাড়ানো হচ্ছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘অক্সিজেনবাহী ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেহেতু এই দ্রব্যটি জীবন সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেজন্য অক্সিজেনসহ জরুরি সামগ্রী আমদানিতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতায় কাস্টমস সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার শাহিদুজ্জামান জানান, আগে স্থলপথে ট্রাকের মাধ্যমে তরল এই অক্সিজেন আমদানি হতো। আজ থেকে ট্রেনের মাধ্যমে অক্সিজেন আমদানি শুরু হলো। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।