
ঢাকা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে অসুস্থতার কথা গোপন রেখে টিকা নেওয়ার পর হারুন আর রশিদ (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে উপজেলা কলাতিয়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দী মাদরাসা টিকাদান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
টিকা নেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই সে মারা যায় বলে জানান তার ছোট ছেলে পাভেল মিয়া (২৪)। কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক বলে রোগী লো প্রেসার ও হার্ট ডিজিজ জনিত কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে প্রেরণ করি। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যায়।
মৃতের ছেলে পাভেল বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সহজে টিকা পাওয়ায় করোনার ভয়ে তার বাবাকে টিকার দেওয়ার জন্য অস্থায়ী টিকা কেদ্র খাড়াকান্দী নিয়ে যান। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আইডি কার্ড নিয়ে সহজে টিকা পেয়েও যান। টিকা নেওয়ার পারপরই সে অসুস্থ হয়ে আমার কোলে ঢেলে পড়েন।
তিনি আরো বলেন, তার বাবা বাড়ির পাশেই নিজের বেকারিতে কাজ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেসার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। দোকানে যাওয়া আসাও তার জন্য সমস্যা হতো। তাদের জানা ছিল না অসুস্থ অবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে না। আর কর্তৃপক্ষও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই টিকা দেওয়ার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই সে মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, সরকার জনগণের স্বার্থে টিকার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি বলে দেওয়া হয়েছে কারা টিকা নিতে পারবে আর কারা পারবে না। রেজিস্ট্রেশন ফরমেও তা উল্লেখ রয়েছে। কেউ যদি অসুস্থতা গোপন রেখে করোনার টিকা নেয় তবে সমস্যা হতে পারে। তবে যে ভদ্রলোক মারা গেছেন তিনি বহুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। টিকায় নয় পূর্বের অসুস্থতা জনিত কারণেই সে মারা গেছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।