মিরর ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকলেও অতীব জরুরী বিষয়ে শুনানি ও প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য সোমবার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মাত্র তিনটি বেঞ্চ বসছেন। তাও সেগুলো একক বেঞ্চ। শনিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ বেঞ্চ তিনটি গঠন করেছেন।
যে তিন বিচারপতিকে নিয়ে পৃথক তিনটি একক বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন-বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের। এই তিনটি একক বেঞ্চ ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০’ এবং সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক জারি করা ‘প্র্যাকটিস ডাইরেকশন’ অনুসরণ করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিরি মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরে জারি করা পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ ২৬, ২৭ ও ২৯ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত; বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ ২৬ ও ২৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বসবেন। এই তিনটি বেঞ্চে আবেদন করার জন্য পৃথক তিনটি ই-মেইল একাউন্ট খোলা হয়েছে।
এর আগে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় তিনটি বেঞ্চ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে এই ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। এ সময়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট ও দেওয়ানী, ফৌজদারি এবং কম্পানি ও এডমিরালটি সংক্রান্তে একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চ খোলা থাকবে।