
ঢাকা : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পাঁচ বছর আজ (১ জুলাই)। প্রতিবছর এই দিনে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বেকারিটি খুলে দেওয়া হয়। তবে লকডাউনের কারণে এবার বন্ধ। বাড়িটির সীমানা প্রাচীরের বাইরে প্রধান ফটকের পাশে একটি টেবিল রাখা হয়েছে। লকডাউনের কারণে আজ সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেনি কেউ। টেবিলে তিনটি ফুলের তোরা দেখা গেছে। সেগুলো গতকালই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশিদের কেউ কেউ গতকাল এসেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে বাড়ির সামনে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, আজকে কেউ আসেননি।
গুলশান থানা পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের কারণে হলি আর্টিজান বেকারির সকল কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
তবে হলি আর্টিজান হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ও মো. সালাহউদ্দিন খানের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা.শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে জঙ্গিরা এখন অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমাদের দেশেও অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়। তবে অনলাইনে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
লকডাউন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে যাদের বের হওয়ার অনুমতি আছে আজ শুধু তারাই বের হচ্ছেন। তবে অনেকের অভ্যাস প্রথম দুই দিন মানার পর আর কেউ নিয়ম মানতে চান না। তবে ডিএমপি মাঠে রয়েছে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের হোলি আর্টিজান বেকারি ও রেস্টুরেন্টে নারকীয় হামলায় চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় নাগরিক, একজন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। বাকি দু’জন হলেন বাংলাদেশি নাগরিক। জঙ্গিরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর রাতভর ওই বেকারিতে বেশ কয়েকজন অতিথি ও বেকারির কর্মচারীদের জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালিত হয়। জিম্মি থাকা অন্তত ৩৫ জনকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।