
মুজিবুর রহমান ঢাকা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে শুক্রবার (২০ আগস্ট) দেয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন শুক্রবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। হামলার আগের দিন নাকি তার বাবা হানিফ তাকে বলেছিলেন যে নেত্রীর ওপর হামলা হতে পারে। সাঈদ খোকন ঘটনার আগের দিন তাদের নেত্রীকে জানিয়েছেন যে আক্রমণ হতে পারে, তিনি আমলে নেন নাই। এইটা আমাদের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন এই বিষয়টা তিনি (শেখ হাসিনা) গুরুত্ব দিলেন না? আমলে নিলেন না?’
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এ সরকারের আন্দোলনের ফসল এক/এগারোর সরকারের সময় এই হামলার মামলা নিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম চার্জশিটে আসেনি। সে সময় অনেক তদন্ত করেছে। কিন্তু এ সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের লোক যারা নির্বাচন করবে, পোস্টার ছাপিয়েছে, তাকে তদন্ত কর্মকর্তা বানিয়ে তদন্ত করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম দিয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়, এটা পরিকল্পিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কারা জড়িত তাদের বের করার আন্তরিকতা এদের মধ্যে আমরা দেখতে পাইনি। যে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখনও তারা বিএনপিকে তদন্তে কোনো সহযোগিতা করেনি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুধা সদনে দেখতে গিয়েছিলেন, তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তদন্তের বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন, তাও তারা করেননিই। সবকিছু বিবেচনা করে দেখলে এবং গতকালের সাঈদ খোকনের তথ্য থেকে বোঝা যায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য তার অফিসে তালা দেওয়া হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। একটি ভয়ংকর গুন্ডামির রাজ্য তৈরি করছে।’
গণমাধ্যমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে সেটাকে গণতান্ত্রিক সমাজ বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে না। বিচার বিভাগ আছে, গণমাধ্যম আছে, কিন্তু সবগুলোর চিন্তায় মনে হচ্ছে একটি শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যেখানে ভিন্ন মতের স্বাধীনতা নেই, সেটা গণতন্ত্র বলে বিবেচিত হবে না।’