
ঢাকা : ২০১৮ সালের মতো সরকার নানাভাবে ফাঁদে ফেলে বিএনপিকে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনী মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে বলে মনে করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে তারা নির্বাচনে যাবে কি-না। আর এ রকম নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে নির্বাচনে গেলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো উপায় নেই।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে আমরা বাধ্য করবো। এক দফার আন্দোলনেই সুরাহা হবে। জনগণের আন্দোলন কখনোই বৃথা যায় না। আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার, রাষ্ট্রের গণতন্ত্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার। আমাদের আন্দোলন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, ঘরে বসে করোনায় না মরে রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়ে ইতিহাসের বুকে নিজের নামটা লিখে যাই। চাকরি করলে আরও ১২ বছর আগে বড় সচিব থেকে অবসরে যেতাম, ব্যবসা করলে ওই দরবেশের মতো আমরাও ব্যবসায়ী হতাম। আমরা আছি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য। কার কত টাকা হয়েছে এতে আমাদের কোনো হিংসা নেই। সময় মতো হিসাব দিতে হবে টাকাটা কিভাবে হলো। কোন পথে হলো।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুগে যুগে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। সরকার যদি অত্যাচারী হয় তাহলে বিচারকের কাছে সঠিক বিচার পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সেই জিনিসটা পাওয়া সম্ভব নয়। একজন বিচারক সঠিক রায় দেওয়ার কারণে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। আজ প্রশাসনের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, জনগণ নীরব ভূমিকা পালন করছে। কারণ আপনাদের জনগণকে রক্ষার যে দায়িত্ব তা পালন করেননি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।