
মিরর ডেস্ক : সাবেক এক বিদ্রোহী নেতা নিহতের ঘটনায় ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য মেঘালয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে। এর জেরে রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে দুই দিনের কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে হামলা হলেও সেটি খালি থাকায় কেউ হতাগত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা তার সরকারি বাসভবনে বসবাস করেন।
এছাড়া শিলংয়ে হামলার শিকার হয়েছে প্রতিবেশি রাজ্য আসামের একটি গাড়ি। এতে চালক মারাত্মক আহত হয়েছে। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আসামের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা শিলংয়ে কারফিউ চলাকালে শহরটি ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন।
পুলিশের দাবি, এক বিস্ফোরণের ঘটনায় চেরিশস্টারফিল্ড থাংখিউ সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে পুলিশের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান সাবেক এ বিদ্রোহী নেতা। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। নিহত হন তিনি। তবে এ নেতার পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাবেক বিদ্রোহী নেতার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।