
নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মনোহরদীতে সিএমএম কোর্ট ঢাকার নামে জারিকৃত ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সাজাসহ চার দিন কারাবাস করেছেন আব্দুর রাশিদ নামের এক বৃদ্ধ। পরে আদালতে এই পরোয়ানা অসত্য প্রমাণিত হলে সোমবার নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। আব্দুর রাশিদ মনোহরদী উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে।
নরসিংদী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী মো. আবু সাইদ সিদ্দিকী টিপু এ তথ্য জানান।
আব্দুর রাশিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মনোহরদী থানার তারাকান্দি গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ কৃষক আব্দুর রাশিদের বাড়িতে হাজির হন মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক। এ সময় কৃষক আব্দুর রাশিদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম কোর্ট) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের এমন অভিযোগে হতভম্ব হয়ে পড়েন বৃদ্ধ আব্দুর রাশিদ। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাদের পিতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনাটি আরও নিশ্চিত হতে সময় দেয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ সে সুযোগ দেয়নি। বৃদ্ধ আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জজ আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় রোববার গ্রেপ্তারকৃত ওই বৃদ্ধের স্বজনেরা জেলার আইনজীবীদের পরামর্শে ঢাকার সিএমএম কোর্টের আইনজীবী আবু সাইদ সিদ্দিকী টিপুর মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ সিএমএম কোর্টে দাখিল করেন। এ সময় আদালতে এ ধরনের মামলার (হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত) কোন নথি না থাকায় ওই পরোয়ানার কাগজ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে সোমবার দুপুরে মুক্তি পান আব্দুর রাশিদ। বিনা অপরাধে ও মিথ্যা মামলায় ওই বৃদ্ধের চার দিনের কারাবাসে বিস্মিত পরিবারের সদস্যরা।
আব্দুর রাশিদ বলেন, আমার জীবনে আমি কোনো অপরাধ করি নাই। বিনা অপরাধে মিথ্যা অভিযোগে কেন আমি চার দিন হাজতবাস করলাম? এই ভুয়া ওয়ারেন্টের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই।