মিরর ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৮৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ ৬৫ হাজার।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ২শ’ ৩৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮শ’ ৬৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৮শ’ ৯৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৫শ’ ২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ২শ’ ১৯ জনের।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৩ হাজার ৪শ’ ২০ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬শ’ ১৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার ৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ’ ২৪ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬শ’ ২৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ২শ’ ১৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯শ’ ৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৪শ’ ৩৯ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৮শ’ ৪৯ জন, রাশিয়ায় ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ১শ’ ৭৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৪শ’ ৫৯ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৬শ’ ৯৩ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৪ জন, স্পেনে ৪০ লাখ ১৫ হাজার ৮৪ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ২শ’ ৮৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ ৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৪শ’ ৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৪শ’ ৯২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৪শ’ ৮১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৮শ’ ৮ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ৩শ’ ২৪ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৩৩ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৭শ’ ৯৯ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।