
মিরর ডেস্ক : একদিনেই অ্যামাজনের শেয়ারের ৭ দশমিক ৬ শতাংশ দরপতনের পর ফরাসি বিলাসবহুল পণ্যের প্রতিষ্ঠান মোয়েট হেনেসি লুই ভিটনের মালিক বার্নার্ড আর্নল্ডের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা হারিয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
শুক্রবার অ্যামাজনের শেয়ারে ব্যাপক দরপতনে বেজোসের সম্পদ কমে যায় ১ হাজার ৯শ’ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, বেজোসের ১শ’ ৯২ দশমিক ৪ বিলিয়নের বিপরীতে আর্নল্ডের সম্পদ এখন ১শ’ ৯৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফরচুন এই খবর জানিয়ে লিখেছে, একদিনে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোস যে সম্পদ হারিয়েছেন তা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার চলতি ২০২১ অর্থবছরের মোট বাজেটের ৫৮ শতাংশের সমান।
ফরচুন আরও লিখেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসার চেয়ে মহাকাশ যাত্রায় যেন আগ্রহ বেশি বেজোসের। গত মে মাসের শেষ থেকেই এই দুই ধনকুবেরের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। অবশেষে বেজোসকে টপকে শীর্ষ ধনী হলেন আর্নল্ড।
শুক্রবার শেয়ারবাজারে আর্নল্ডের কোম্পানির শেয়ারের ১ দশমিক ৪ শতাংশ দরপতনে ২শ’ ৯০ কোটি ডলার হারান। কিন্তু সপ্তাহ শেষে তার সম্পদের যে পরিমাণ ছিল; তা বেজোসের চেয়ে ৫০ কোটি ডলার বেশি। এভাবেই বেজোসকে টপকে শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করেন আর্নল্ড।
আর্নল্ড তার কোম্পানির ৪৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। যার বাজারমূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। আর্নল্ড প্রতিষ্ঠিত এমএইচএলভি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো হলো লুই ভিটন, মোয়েট অ্যান্ড চ্যান্ডন, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর এবং টিফানি অ্যান্ড কোম্পানি।
এদিকে, অ্যামাজনের শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের কারণে জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটও ধাক্কা খেয়েছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবারের দরপতনে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে অবস্থান হারিয়ে তিনি এখন বিশ্বের ২২তম ধনী।
ফোর্বস অবশ্য বলছে, শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও অ্যামাজন দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১১ হাজার ৩শ’ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে; যা গত বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। তবে বিপত্তি হয়েছে অন্যভাবে। কারণ এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৪ শতাংশ।