
মিরর ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পালিত হয়েছে। মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠান।
কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে মিশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি ও ভার্চুয়াল অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, শেখ হাসিনা মঞ্চের নেতৃবৃন্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এ দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এর পর জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং তাঁদের শহিদ পরিবারবর্গসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার নেতৃত্বে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আমরা জাতিসংঘে ফলপ্রসু অংশগ্রহণ ও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছি। শান্তিরক্ষা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অসংখ্য বহুপাক্ষিক বিষয়ে আমাদের নিবিড় ও নেতৃত্বশীল অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ আজ এক মর্যাদাপূর্ণ নাম।
পঁচাত্তরের পনের আগস্টের প্রেক্ষাপটসহ জাতির পিতার জীবন ও কর্মও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। ইতোমধ্যে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এখনও দন্ডপ্রাপ্ত খুনিদের কেউ কেউ বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।