
মিরর স্পোর্টস : শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল বাংলাদেশের। বল পায়ে রেখে খেলার চেষ্টা ছিল। মাঝে মধ্যে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে বল নিয়ে আতঙ্কও তৈরি করেছিল। কিন্তু শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কতক্ষণ আর ইতিবাচক খেলা যায়? তিন জাতি ফুটবলে দুই অর্ধে দুটি গোল হজম করে ২-০-তে হেরেছে বাংলাদেশ।
বিশকেকের স্পার্তাক স্টেডিয়াম খেলার কৌশলে বদল আনেন জেমি ডে। ফরমেশন বদলে ৩-৪-৩-এ নামার পর শুরু থেকে চেষ্টাও কম হয়নি। কিন্তু ফিলিস্তিনের গোলকিপারকে সেভাবে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি জেমি ডের দল। বরং মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি প্রথমার্ধেই অন্তত ৫টি গোলের সুযোগ থেকে একটিতে গোল করতে পেরেছে।
এই ম্যাচে ৫ বছর পর ডিফেন্ডার রেজাউল করিম মাঠে নেমেছেন। এছাড়া গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলও খারাপ করেননি। রুখে দিয়েছেন একাধিক প্রচেষ্টা।
৪২ ও ৪৫ মিনিটে ফিলিস্তিন চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। প্রথমটি পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। পরেরটি প্রতিহত করেন গোলকিপার সোহেল।
বিরতির পর ফিলিস্তিন একচেটিয়া বল দখলে রেখে আক্রমণ করে গেছে। তাতে দ্বিতীয় গোল পেতে সময়ও লাগেনি। ৪৬ মিনিটে মাহমুদ ইদের ক্রসে ইয়াসের হামদ লাফিয়ে উঠে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর তৃতীয় গোলের খোঁজে ফিলিস্তিন চেষ্টা করেও আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
কানাডার সেমি-প্রফেশনাল লিগে খেলা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাহবার ওয়াহেদ খানেরও বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে। শেষ ১০ মিনিট খেলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ ও ২০২০ সালেও ফিলিস্তিনের কাছে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ফিফা র্যাংকিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এবারও গোল খাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি জেমি ডের শিষ্যরা। আগামী মঙ্গলবার স্বাগতিক কিরগিজস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।