এর আগ, ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১শ’ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১শ’ ৩২ জন মারা যান। ৩ জুলাই ১শ’ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬শ’ ৬১ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯শ’ ১৭ জনে।
রবিবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬শ’ ৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৯ হাজার ৩শ’ ১৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৯ হাজার ৮শ’ ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫শ’ ৬০টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হয়েছেন ৪ হাজার ৬শ’ ৯৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ’ ৯৭ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার হার ৮৮দশমিক ২৫ শতাংশ।
মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ এবং নারী ৫৭ জন। এদের মধ্যে ৯ জন বাসায় মারা গেছেন। ৩ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত ১শ’ ৫৩ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব ৩ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৪৬, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ১২, খুলনায় ৫১, বরিশালে ৩,সিলেটে ২, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।