
অর্থনীতি রিপোর্ট : নিয়ম না মানলে মিল মালিকদের মিলিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাভ করার প্রবণতা অনেক বেশি। এ করোনা মহামারির মধ্যেও মানবতার অবস্থা ছেড়ে দিয়ে কীভাবে বেশি লাভ করবে, কী কায়দা করলে বেশি লাভ করা যায়, এটা নিয়েও আমরা বেশি ব্যস্ত থাকি। এটা শুধু চালে নয়, সুযোগ পেলেই যেন বেশি লাভ করতে চায়, আল্লাহ তাদের ওপর মানবতার রহমত বর্ষণ করুক।
আড়ৎদাররা কারসাজি করে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় মিলের রেটের সঙ্গে ঢাকার পাইকারি রেটের কোনো মিল আমি দেখি না। তারা তো তাদের চালান দেখায় না, বলে চালান এখনো আসেনি। ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার ফলে আমি মনে করি অনেকেই অনেক অর্থ ঋণ নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় মজুদের সুযোগটা পাচ্ছে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ যদি মজুদ রাখে, স্পেশাল পাওয়ারে মামলার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও মামলা করতে পারবে।
পদক্ষেপের পরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবতার দিকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কেউ যদি মনে করি প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা লাভ করতে হবে এটা আপনি ঠেকাবেন কীভাবে!
আমার নিজের কোনো চালের ব্যবসা নেই দাবি করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একটা বিষয় আপনাদের জানিয়ে দেই, অনেকেই লেখেন যে, খাদ্যমন্ত্রীর চালের ব্যবসা আছে, যার জন্য চালের দাম কমে না। আমার কোনো চালের ব্যবসা নেই, কোনো মিলও নেই। এটা কিন্তু আপনাদের জানা দরকার। এটা কিন্তু বারবার আমাদের প্রশ্ন করেন, আমরা বিব্রত হই।