
মিরর স্পোর্টস : সাদা বল থেকে সরাসরি লাল বলে খেলা। তাও আবার ২০ ওভারের ছোট্ট ফরম্যাট থেকে একদম ৫ দিনের টেস্টে। যতই বলা হোক যে, ক্রিকেটাররা পেশাদার। তাদের সকল পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে পারফর্ম করাই কাজ। কিন্তু বাস্তবে কাজটা সহজ নয়।
লাল ও সাদা বলের চরিত্রগত পার্থক্য প্রচুর। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে টেস্টের ফারাক আকাশ-পাতাল। মেজাজ, ধরন, গতি-প্রকৃতি, আকার-পরিধি সবই ভিন্ন।
মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুনের ২৬ তারিখ অবধি ওই সাদা বলই ছিল টাইগারদের ধ্যান-জ্ঞান। প্রচণ্ড গরমে উইকেটে বেশি সময় থাকা, ধৈর্য্য ধরে বলের গুণ বিচার করে ফিল্ডারদের পজিশন দেখে খেলার কোনই সুযোগ ছিল না। উইকেটে গিয়েই চালিয়ে খেলতে হয়েছে।
সেখান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন ফরম্যাটে কাল (বুধবার) নামতে হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। দেশের চেয়ে অনেক কম তাপমাত্রা। রাতে রীতিমত হাড় কাপানো ঠান্ডা।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে প্রায় এক মাসের বেশি সময় সেই সাদা বলে টি-টোয়েন্টি খেলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে টেস্ট খেলতে হচ্ছে। কাজটা যে সহজ নয়, তা অকপটে স্বীকার করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও।
তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে তার সে চিন্তা কমে গেছে অনেকটাই। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমি এই দিকটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি এই চিন্তা অনেকদূর কেটে গেছে। এখানে আসার পর এক সপ্তাহ ধরে লাল বলে অনুশীলন করছি। প্রস্তুতি ম্যাচটাতে সবাই খুব ভালো করেছে। তাই যে ঘাটতি ছিল, সেটা এখন নেই। আশা করি টেস্ট ম্যাচটা ভালো কাটবে।’
টাইগার ক্যাপ্টেনের দাবি, ‘প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। দু’দিনের গা গরমের ম্যাচে ব্যাটসম্যান-বোলাররা সবাই ভালো করেছে। তাই আমরা টেস্ট ম্যাচেও ভালো কিছু আশা করছি।’
আর শুধু জিম্বাবুয়েতে নয়, মুমিনুলের ধারণা-দেশের বাইরে যে কোনো জায়গায় খেলাই কঠিন।। তার ভাষায়, ‘যে কোন দেশেই অ্যাওয়ে ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং হয়। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে আমি আশাবাদী যে ৫ দিন ভালো ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ফল আমাদের দিকে আসবে।’