
মিরর ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনকারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করতে সংশ্লিস্ট আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্টের ভুয়া আদেশ তৈরি করে তা সংবাদপত্র কার্যালয়ে সরবরাহের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা অনুসন্ধান করে ওইদিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ নির্দেশ দেন। দুদকের এক কর্মকর্তার বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের ভুয়া আদেশ বানিয়ে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করার ঘটনায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসানুর রহমান ও মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার। রাকিব হাসান নামে আরো এক আইনজীবী এ সময় যুক্ত ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে গত ১৬ জুন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। এই বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে নিজেকে কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি দাবি করে জনৈক শাহিদুল ইসলাম লিটন হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন। এই রিট আবেদনটি হাইকোর্ট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলেও এনিয়ে গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীফ উদ্দিনের বদলির আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। কোনো কোনো পত্রিকায় লেখা হয়, শরীফ উদ্দিনকে স্বপদে বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আইনজীবী বদল করে রিট আবেদনটি আবারো কার্যতালিকাভুক্ত করা হয়। দ্বিতীয়দফা শুনানিকালে আদেশ জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের সামনে আনেন অপর আইনজীবী রাকিব হাসান। এরই ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনকারীকে তলব করে বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, এটা মারাত্মক প্রতারণা। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতে হবে।