
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : করোনা মহামারির মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাকিমপুরের ফার্মেসিগুলোতে কোনো কম্পানির জ্বরের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দুই-একটি দোকানে মিললেও বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসি, বাজারের ফার্মেসি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওষুধের দোকানগুলোতে জ্বরের ওষুধ বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা, নাপা ওয়ান এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচএইচ প্লাস, এইচ ৫০০-সহ অন্যান্য কম্পানির জ্বরের ওষুধ।
জ্বরের ওষুধ নিতে আসা সোহেল রানা নামের একজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের জ্বর আসছে তাই ওষুধের দোকানে জ্বরের ওষুধ নিতে আসলাম। এসে শুনি দোকানে জ্বরের ওষুধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
কথা হয় নাসিম আহম্মেদ নামের আরেকজনের সঙ্গে। তিনিও বলেন, সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কী কেউ ওষুধের সংকট সৃষ্টি করল কি-না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। কারণ আমরা হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা মূলত আমাদের এসব ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কিনতে গেলে তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।’ শরিফুল ইসলাম নামের আরও একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘যদিও দুই-একটি দোকানে ওষুধ মিলছে, কিন্তু চাহিদা থাকায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।’
বেক্সিমকোর হাকিমপুরের রিপ্রেজেন্টিভ আলেমন হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে ওষুধটির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’
হাকিমপুর ওষুধ ফার্মেসির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেনসহ এই গ্রুপের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. গাদ্দাফী সিকদার বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় জ্বরের প্রকোপটা একটু বেশি। বাজারে কোন ওষুধের সরবরাহ নেই, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে জ্বরের ব ধরনের ওষুধ পর্যাপ্ত হাসপাতালে রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর এ আলম বলেন, ‘করোনা মহামারির এ সংকট মুহূর্তে যদি কোনো ফার্মেসি মালিক সংকট তৈরি করে, দাম বেশি নেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধের সংকট তৈরি করে দাম বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’