
বরিশাল প্রতিনিধি : ইউএনওর বাসায় হামলার পর থমথমে বরিশাল নগরীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, ‘খুলনা থেকে ১০ প্লাটুন বিজিবি রওনা হয়েছে। রাতের মধ্যে বরিশালে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। আশপাশের জেলা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা সবাই এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত হবেন।’
শোক দিবসের ব্যানার অপসারণের জেরে বুধবার রাতে সিটি করপোরেশন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (ইউএনও) আনসার বাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে হতাহত হয়েছেন।
এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বরিশালে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। সাত ঘণ্টা পর বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার সূত্রপাত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খুলতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকাটি হয়।
প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।
যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের পর ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ফের ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর থেকেই থমথমে বরিশাল নগরী।