
ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী আত্মহত্যার পর তার গর্ভের মৃত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে শনাক্ত করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। এ ঘটনায় ধর্ষক আবু ইউসুফ নয়নকে (৩০) গ্রেফতার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ইউসুফ পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও উপজেলার বগাদানা এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের নুর আমিনের পরিবার সবসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নয়নের গাড়িতে পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াত করতো। ওই সুযোগে নয়ন মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হলে নয়নকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। নয়ন বিয়েতে রাজী না হওয়ায় লোক-লজ্জার ভয়ে গর্ভে ৫ মাসের সন্তান নিয়ে ওই কিশোরী ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বরে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তকালে কিশোরীর গর্ভের সন্তানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর কিশোরীর বাবা সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ধর্ষককে শনাক্তে তৎপর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কিশোরীর পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্দেহভাজন পাঁচ যুবকের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার (৩০ জুন) ওই ডিএনএ পরীক্ষায় কিশোরীর গর্ভের সন্তানের সঙ্গে অভিযুক্ত সিএনজি চালক নয়নের ডিএনএ ফলাফল মিলে যায়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, কিশোরীর আত্মহত্যার পর তার গর্ভের মৃত সন্তানের ডিএনএ ও ধর্ষক নয়নের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান।