
মিরর স্পোর্টস : গত ২৩ জুলাই মহামারির এ দুঃসময়ে প্রায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আশার মশাল জ্বেলে শুরু হয়েছিল টোকিও অলিম্পিকস। অবশেষে ১৭ দিনে ৩শ’ ৩৯টি পদকের লড়াই শেষে দা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত আসরের পর্দা নামল। এর সাথে শুরু হলো ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকসের অপেক্ষা।
রবিবার টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ঢাউস মশাল নিভিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আধুনিক অলিম্পিকসের ৩২তম আসর শেষ হলো। জাপানের সম্রাট নারুহিতো উদ্বোধন করেছিলেন। আর প্রথম জাপানি হিসেবে টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তারকা নাওমি ওসাকা উদ্বোধনীতে মশাল জ্বেলেছিলেন।
বিদায়ী ভাষণে আইওসি প্রেসিডেন্ট বাখ টোকিওর বলেন, আপনারা খেলাধুলার ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আপনাদেরকে (টোকিওর আয়োজক) মহামারির কারণে যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, এজন্য এটা আরো বেশি অসাধারণ। আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
টোকিও অলিম্পিকসের আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাশিমোতো করোনার এ কঠিন সময়ে ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলার তৃপ্তি জানান। অ্যাথলেট, কোচ এবং ভলান্টিয়ারদেরও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এবারের আসরের নানা ইভেন্টের খণ্ড খণ্ড চিত্র, অ্যাথলেটদের অর্জনের উল্লাস, আলিঙ্গন, আনন্দাশ্রু ও বিচিত্র উদযাপনের দৃশ্যগুলো টিভি পর্দায় তুলে ধরা হয়। বিশ্বের ক্রীড়া অনুরাগীরা নানাপ্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। বাজতে থাকে বিদায়ের রাগিণী।
পরে বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা একে একে মাঠে প্রবেশ করেন। তারা ছবি তুলে ও নেচে-গেয়ে মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করতেই ব্যস্ত ছিলেন। ভার্চুয়ালি প্রতিটি দেশের পতাকার রং আলো-আধারি আবহে ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপর জাপানিরা সুর-গানের তালে বিভিন্ন খেলা, কসরত তুলে ধরে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ম্যারাথনের বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
এরপর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভিডিও বার্তা দেন। এসময় প্যারিসে বিমানে ফ্রান্সের পতাকা তিন রঙের ধোঁয়া উড়িয়ে আঁকা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের হাতে পতাকা তুলে দেন টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে। আর তিনি সেটা আগামী আসরের আয়োজক শহর প্যারিসের মেয়র আন হিদালগুর হাতে তুলে দেন।