
গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মারধরে আসাদুল ইসলাম (৫২) নামের এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মহানগরীর বাহাদুরপর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসাদুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাঁচউলিপুর এলাকার মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আসাদুল ইসলাম গাজীপুরের বাহাদুরপুর তুলসিভিটা এলাকার ফিরোজের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত ৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে তার ছেলে নয়নকে (১২) তুরাগ নদীতে মাছ ধরার কথা বলে প্রতিবেশী সেজু (২৪), আনন্দ (২২), বাবলু (৪০) ও শাহীন (২০) নিয়ে যান। পরে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় নয়ন। সন্ধ্যায় তার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে নৌকা থেকে নদীতে ফেলে দিয়ে নয়নকে হত্যা করার অভিযোগ করেন নিহতের বাবা আসাদুল ইসলাম। এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে সালিশি বৈঠক বসে। এদিন আসাদুল ইসলামের প্রতিপক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকায় সালিশি বৈঠক হয়নি। পরে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ফের বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ বৈঠককে কেন্দ্র করে আসাদুল ইসলামকে স্থানীয় আলমগীর তার বাড়ির উঠানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আলমগীর, মোজাম্মেল বেপারী বাবু ও হবি বেপারীসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে আসাদুলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা আসাদুল ইসলামকে মারধর করেন। এতে আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে আসাদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বায়োজিদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।