স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় বর্তমানে আশঙ্কাজনক হারে জ্বর সর্দি ও কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সব বয়সী লোকজন ওইসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হওয়া বেশিরভাগ রোগী, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসির দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনছেন। যার কারনে বিভিন্ন হাট বাজারে গড়ে ওঠা ফার্মেসির দোকানগুলোতে প্যারাসিটামল, নাপা ও অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাছাড়া জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকে গোপন রেখে, পারিবারিকভাবে সতর্ক থেকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে আসছেন। হোম কোয়ারেন্টিন ও বাড়ি লকডাউন পরিস্থিতি এড়াতে কেউ করোনা পরীক্ষা করতে চান না। এতে করে দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণ দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা বয়সী লোকদের জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থকেন্দ্র ও ক্লিনিকে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত হওয়া ওইসব রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে যাচ্ছেন। আবার অনেকে গোপনীয়তার সঙ্গে বাড়িতে ওষুধ এনে খাচ্ছেন। করোনার ভয়ে তারা নমুনা পরীক্ষা করতে দিচ্ছেন না। আর যারা করছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে প্রতিটা পরিবারে সর্দি, কাশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যেহেতু সময়টা ভালো যাচ্ছে না, তাই যাদের জ্বর-কাশি হচ্ছে তাদের উচিত, যত্রতত্র ঘোরাঘোরি না করা। তাছাড়া ঘরে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পাশাপাশি, তরল জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ফলমূল খাওয়া এবং চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে।
এছাড়া মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই জ্বরসহ সর্দি-কাশি দেখা দিলে, করোনা পরীক্ষা করাসহ হটলাইন নম্বরে ফোন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এ বিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, করোনা রোগীকে অবহেলা করার কিছু নেই। যারা করোনা শনাক্ত হবেন, তাদের পরিবারের চিকিৎসা এবং সার্বিক সহায়তা করবে জেলা প্রশাসন।