
মিরর ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১শ’ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত ৫৬ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে গত ২৯ জুন ১শ’ ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ৫শ’ ১৩ জনে।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১শ’ ১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন ও নারী ৫৮ জন। এদের মধ্যে মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ জন ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ২শ’ ৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯শ’ ৬৪ জনে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭শ’ ৩৬টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ২শ’ ২৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৭শ’ ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১৪টি।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ১২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৯শ’ ৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭শ’ ৬৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৪ জনের মধ্যে ১০ বছরের নিচে একজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, আশি-ঊর্ধ্ব নয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪২ জন, চট্টগ্রামে ২৯ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, খুলনায় ১৩ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে নয়জন, রংপুরে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।