
স্টাফ রিপোর্টার : নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত হচ্ছে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট)। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন কিশোরী ইয়াসমিন। এর প্রতিবাদে আন্দোলনমুখর জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন পাঁচজন। সেই থেকে এ দিনটি নারী নির্যাতন দিবস হিসেবে পালন হয়ে এলেও ঘটনার ২৬ বছরেও থেমে নেই নারী ও শিশু নির্যাতন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী ও কন্যাশিশুর ওপর প্রতিদিনই নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ ব্যাপারে যতো সরব, প্রশাসন তার ধারেকাছেও নেই।
তিন বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১২২ শতাংশ
বেসরকারী সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুসারে, গত তিন বছরে নারী নির্যাতনের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ধর্ষণ। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ধর্ষণ বেড়েছে ১২২ শতাংশ। ২০১৮ সালে ৭৩২, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩ এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৬২৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত বছরের ১৩ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন আনে সরকার। এরপরও ধর্ষণ কমেনি। বেড়েছে অন্যান্য নির্যাতনও।
সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে ৪ জন, ২০১৯ সালে ৩ জন, ২০২০ সালে ৪ জন এবং চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৪ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়।
ওই সময় মামলাটির তদন্ত করেন সাটুরিয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম। তিনি এবং ওই থানার বর্তমান ওসি আশরাফুল আলম জানান, পুলিশের দুই সদস্যকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি চলছে। তাঁরা জামিনে মুক্ত। তবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের মে মাসে ভারত থেকে দেশে ফেরা এক বাংলাদেশি নারী খুলনার একটি আইসোলেশন কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় এক পুলিশ সদস্যের ধর্ষণের শিকার হন।
মামলাটি সম্পর্কে খুলনা দক্ষিণ পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সোনালী সেন বলেন, ওই তরুণীর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এরপর অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। ওই পুলিশ সদস্য খুলনা জেলা কারাগারে আছেন।